বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর বিমান নামতেই বিস্ফোরণ-গুলি, নিহত অন্তত ১৩

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:০৯

সৌদি আরব থেকে আসা ইয়েমেনের নতুন সরকারকে বহনকারী বিমান অবতরণের পরপরই বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে নতুন প্রধানমন্ত্রী মায়িন আব্দুল মালিকসহ মন্ত্রীসভার কেউ আহত না হলেও, প্রাণ গেছে ১৩ বেসামরিক নাগরিকের। হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ।  

সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের নতুন সরকারের সদস্যরা রিয়াদে শপথ নিয়ে দেশে ফেরার পরপরই এডেন বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নতুন সরকারকে বহনকারী বিমান অবতরণের পরপরই এই সহিংসতায় অন্তত ১৩ জন নিহত হন।

তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী মায়িন আব্দুল মালিকসহ মন্ত্রিসভা সদস্যদের সবাই অক্ষত আছেন বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে। তাদের সবাইকে নিরাপদে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে সরিয়ে নেয়া হয় বলে জানিয়েছে সৌদি সংবাদ মাধ্যম।

বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার এবং দক্ষিণের বিরোধীদের সমঝোতায় নতুন সরকার গঠিত হয় গত ১৮ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এই সরকারের সদস্যরা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শপথ নেন।

বুধবারের হামলার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে হুতিদের। এই শিয়া বিদ্রোহীরা সৌদি আবব ও তাদের সমর্থিত নতুন সরকারের বিরুদ্ধে।

এডেন বিমানবন্দরে নামছেন ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত নতুন সরকারের সদস্যরা। ছবি: এএফপি

ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধের শুরু হয় আরব বসন্তের সময়ে। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির সমর্থকরা।

তবে নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সক্রিয় হয়। একের পর এক অঞ্চল দখলে নিতে থাকে তারা।

একপর্যায়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের অনুগত হুতি বাহিনী গোটা দেশে নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, হাদিকে ফের ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরবসহ আটটি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে ২০১৫ সালে। আর এই জোটকে সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

এ বিভাগের আরো খবর